কদবেলের যত ঔষধিগুণ!
- গোলাকার বিশিষ্ট টেনিস বলের আকারের কদবেল শক্ত খোলসে দ্বারা আবৃত টক মিষ্টি স্বাদের একটি দেশীয় ফল। বর্তমানে বাজারে প্রায় কদবেলের দেখা মিলছে। গবেষকরা বলছে, আমের চাইতে সাড়ে ৩ গুণ, কাঁঠালের ২ গুণ,এবং আমলকী ও আনারসের চাইতে প্রায় ৪ গুণ বেশি পরিমাণ আমিষ আছে এই কদবেলে। কদবেল হজমের সমস্যা দূর করে এবং ওষুধ হিসেবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহার করে।
- লবণ, মরিচ দিয়ে মাখানো কদবেল শুধু খেতেই মজাদার তা নয়, পুষ্টিগুণে রয়েছে এটি বেশ এগিয়ে। কদবেলে রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজ, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, পটাসিয়ামসহ আরও অনেক উপাদান
কদবেলের ঔষধি গুনাগুণ সম্পর্কে জানুন –
1/ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:-
- কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুতে শক্তি সরবরাহ করে। তাই কদবেল খেলে তাপ কম পাবেন। ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে মলম হিসেবেও কদবেল ব্যবহার করা হয়।
2/ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ:-
- কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কদবেল ডায়াবেটিসের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
3/ কিডনির জন্য উপকারী:-
- কদবেল আয়ুর্বেদে উদ্দীপক, মূত্রবর্ধক, টনিক এবং যৌন বর্ধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নিয়মিত কদবেল খেলে কিডনি সুরক্ষিত থাকে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসায়, কদবেল কিডনির সমস্যা নিরাময়ের জন্য সর্বোত্তম প্রাকৃতিক ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হত। ফলটি লিভার ও হার্টের জন্যও খুবই উপকারী।
4/ পেপটিক আলসার ভালো:-
- কদবেলের পাতার রস পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দ্রুত ভালো হয়ে যায়। আলসার নিরাময়ে টাটকা কদবেল খুবই কার্যকরী।
5/ কসমেটিক সার্জারিতে কদবেল:-
- মুখের ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস লাগালে খুব দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
- আজাদ ফার্মেসি চট্টগ্রাম
0 মন্তব্যসমূহ