Ad Code

Responsive Advertisement

থানকুনি পাতার উপকারিতা ও আময়িক গুন

  থানকুনি পাতার উপকারিতাঃ---

  •  সর্বপ্রথম মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে অসংখ্যক অগণিত শুকরিয়া জ্ঞাপন করি যিনি আমাদের স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা যেমন রোগ দিয়েছেন তার শেফাও দিয়েছেন।যেমন,আল্লাহ তায়ালা বলেন ওয়া নুনাজ্জিলুল কুরআনা মা হুয়াস শিফা।
  •  প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আমাদের বিষয় বস্তুু হচ্ছে থানকুনি পাতা,আজকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো থানকুনি পাতার ঔষুধী গুনাগুন নিয়ে।

 


থানকুনি পাতার পরিচিতিঃ-

  • থানকুনি পাতা। আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এর ল্যাটিন নাম centella aciatica। গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে আদামনি, তিতুরা, টেয়া, মানকি, থানকুনি, আদাগুনগুনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, নামে ডাকা হয়। তবে বর্তমানে থানকুনি বললে সবাই চেনে।


থানকুনি পাতা যেসব রোগের কাজ করেঃ-

  • জ্বর : যারা জ্বরে ভোগছেন, তারা শিউলি পাতার রস ১ চা চামচ এবং থানকুনি পাতার রস ১ চা চামচ একত্রে মিশিয়ে যদি সকালে খান তাহলে জ্বর সেরে যাবে।
  • পেটের পীড়া : যাদের পেট ব্যথা,পেটে গ্যাস, পেট ফাঁপা পেটের পীড়া আছে। তাহলে অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের ১টি কচি পাতা ,কাঁচা হলুদের রস,এবং ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ সব ভালভাবে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। এবং এই পদ্ধতিটি ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।

  • গ্যাস্ট্রিক : যাদের গ্যাস্টিক আছে, তাদের জন্য আধা কেজি দুধ,আধা কেজি থানকুনি পাতার রস এবং ১ পোয়া মিশ্রী একত্রে সংমিশ্রণ করে প্রতিদিন সকালে ৩/৪ চামচ খাবেন। এভাবে ১ সাপ্তাহ খেলে গ্যাস্টিক সেরে যাবে।

  • হজম শক্তি বৃদ্ধি : যাদের  হজম শক্তি কম তারা যদি বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন খায় এবং এভাবে যদি ১ মাস খায় তাহলে  হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • রক্ত দূষণ রোধে থানকুনি : যাদের রক্ত দুষণ রোগ আছে তারা ৪ চা চামচ থানকুনির রস এবং ১ চা চামচ মধু প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৭ দিন পর্যন্ত খেলে রক্ত দুষণ রোগ ভালো হয়ে যায়। 

  • বাক স্ফুরনেঃ যে সব বাচচা কথা বলতে দেরি করে অথবা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে ২০/২৫ ফোটা মধুর সাথে ১ চা চামচ থানকুনি পাতার রস গরম করে যখন ঠান্ডা হয়ে যায় তখন দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে তাড়াতাড়ি বাচ্চারা কথা বলতে পারে স্পষ্ট ভাবে। 

  • খুসখুসে কাশিতে :যাদের খুসখুসে কাশি আছে তারা ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশি সেরে যাবে এবং যদি ১ সপ্তাহ খায় তাহলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে।

  • আমাশয় : যাদের আমাশয় আছে  প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় রোগ ভাল হয়ে যায়।

  • পেট ব্যথা : যদি কারো পেট ব্যথা করে থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেট ব্যথা সেরে যায়।

  • লিভারের সমস্যা : যাদের লিভারের সমস্যা আছে প্রতিদিন সকালে থানকুনি পাতার রস ১ চামচ, এবং ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের দোষে) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা সেরে যায়।

  • লাবণ্যতা : যাদের মুখ মলিন হয়ে যায়, বা লাবণ্যতা কমে যায় তবে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধ দিয়ে খেলে লাবন্যতা ফিরে আসে। 

  • দূষিত ক্ষত : যাদের ঘাঁ বা দূষিত ক্ষত আছে তারা থানকুনির মূলসহ সমগ্র গাছ নিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দূষিত ক্ষত ধুইলে ভালো হয়ে যাবে।

  • মুখে ঘা : যাদের মুখে ঘাঁ আছে থানকুনি পাতার সিদ্ধ পানি দিয়ে গলগলা করলে মুখের ঘাঁ ভালো হয়ে যায়।

  • আঘাত : কোথাও আঘাত পেলে বা থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যথা সেরে যায় এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।

  • সাধারণ ক্ষত : ঘিয়ের সঙ্গে থানকুনি পাতা বেটে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগালে ক্ষত ভালো হয়ে যায়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ